পিতায়া বা ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ  


লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮, ১২:৫৯ পিএম
পিতায়া বা ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ  

বিদেশি ফল হলেও ড্রাগন ফলের সতেজ করা স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য বাংলাদেশেও এখন এই ফল চাষ হচ্ছে। আর পুষ্টিগুণ কমলা বা গাজরের চাইতে বেশি। এটি সুস্বাদু ও লোভোনীয় একটি ফল। জুলাই মাসের শেষের দিকে এটি বাজারে আসতে শুরু করে। সুমিষ্ট স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য বাংলাদেশেও এখন এর চাষ হচ্ছে। 

আসুন জেনে নেই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে-      
 
প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলের প্রায় ৫৫ গ্রামই খাওয়ার যোগ্য। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফল থেকে আমরা পাই– পানি–৮০-৯০ গ্রাম প্রোটিন-০.১৫–০.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট–৯–১৪ গ্রাম চর্বি–০.১–০.৬ গ্রাম আঁশ–০.৩–০.৯ গ্রাম ক্যালসিয়াম–৬-১০ মিলিগ্রাম আয়রন–০.৩–০.৭ গ্রাম ফসফরাস–১৬-৩৬ মিলিগ্রাম নায়াসিন–০.২–০.৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি–৪-২৫ মিলিগ্রাম। ক্যালোরি খুব কম। তাই ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীরা খেতে পারবেন। ভিটামিন সি বেশি থাকার ফলে এই ফল খেলে আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়। লাল শাঁসের ড্রাগন ফল থেকে বেশি পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আয়রন থাকার কারনে এই ফল খেলে রক্ত শূন্যতা দূর হয়। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উত্তম। ড্রাগন ফলের শাঁস পিচ্ছিল হওয়ায় এই ফল খেলে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয়। প্রচুর পরিমানে পানি থাকার কারনে এই ফল জুস আকারে খেলে শরীরের পানি শূন্যতা সহজেই দূর হয়। প্রচুর ফাইবার থাকে সরবরাহ করে যা পেটের পীড়া এবং লিভার এর জন্য উত্তম।  

গো নিউজ২৪/জেপি              


                                   

লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর